রাগ করো না প্রিয়া
.
ফোনের ওপাশে তোমার কন্ঠ শুনেই
দূর হয় যতো ক্লান্তি।
বৈরী আবহাওয়া, কর্মব্যস্ততা, এমনকি
অফিসের বকাঝকা ভূলে
অনুভব করি এক অনাবিল প্রশান্তি।
আর আমার ছোট্ট বাবার সারাদিনের গল্প শুনে, ভুলে যাই নাওয়া খাওয়া।
দিন গুনি বাবুকে দেখার,তোমার কাছে আসার,
হয়তো সে গোনার শেষ হয় এক, দুই কিংবা
তিন মাস পর;
তবুও বিশ্বাস করো...!
শ্রষ্টার কাছে মন প্রাণ দিয়ে একটাই চাওয়া
ভালো থেকো আমার কলিজারা।
কোন বিশেষ দিনে আসতে না পারলে কিংবা,
ব্যাস্ততায় ফোন কাটলে তুমি অভিমান করে থাকো।
অবসরে আর গল্প বলো না ছোট্ট বাবার!
কাজের অজুহাতে তুমিও চলে যাও,
ছোট্ট বাবাকে ধমকিয়ে বসাও পড়ার টেবিলে।
আমি হতোভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকি,
ভিখারির সামনে খোলা দরজা ধপাস করে
বন্দ হবার মতো।
চোখের কোনে জমা হয়ে ঝরে কষ্টের ছিহ্ন।
পৃথিবী চলতে থাকে আপন গতিতে
কিছুক্ষণের জন্য শুধু থেমে যায় আমার বোধ শক্তি।
পৃথিবীর মানুষগুলো বড়ই নিষ্ঠুর,
ব্যস্ত সবাই নিজের চাওয়া পাওয়া নিয়ে।
সম্পর্কের মাঝে চলে শুধু কর্তৃত্ব আর
অধিকারের প্রতিযোগীতা,
আমারো যে মন আছে,
আছে রাগ অভিমান, সে ভাবনা নেই কারো।
রাগে,দূঃখে,ক্ষোভে,অভিমানে
মনে হয় চলে যাই নির্বাসনে!
তবুও পারিনা,
বেহায়া মন কথা বলতে চায় তোমার সাথে,
তাইতো সব রাগ অভিমানকে কবর দিয়ে বলি
রাগ করোনা প্রিয়া, আর এমন হবে না।।
অসীম কুমার মন্ডল
ঢাকা বাংলাদেশ
১০/০৮/১৯
0 মন্তব্যসমূহ